Published: 12 মার্চ 2018
অস্ট্রেলিয় সোনার কয়েন এবং সোনার বাট
দেশের মুদ্রাস্ফীতিতে প্রতিবন্ধক হিসাবে পরিষেবা দিয়ে, সোনা সর্বদা ব্যর্থতা-রোধকের ভূমিকা নেয় যার ফলে বিশ্বের সাধারণ মানুষ ও বিনিয়োগকারীরা সবসময় এটির ওপর ভরসা করে। যদিও, নাগরিক/ সোনার প্রতি উৎসাহী ব্যক্তি হিসাবে, আমরা সবসময় এই ধাতুর সাথে যুক্ত সমস্ত তারতম্যগুলির সাথে ওয়াকিবহাল থাকি না এবং এক্ষেত্রে আমাদের যেটা সত্যিই প্রয়োজন সেটা হল আমাদের সোনার জন্য বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য সূত্র।
এই কারণের জন্যই বিশ্বের সরকারগুলি লক্ষণীয় নিরাপত্তার বৈশিষ্ট্যের সাথে সোনার কয়েন এবং সোনার বাট উৎপন্ন করে এবং বিতরণ করে যা উচ্চতম বিশুদ্ধতার স্তরের গর্ব করে এবং প্রদত্ত গুণমানের গ্যারান্টি দেয়, সাথে ন্যায্য লেনদেনের সময় গ্রাহকদের হতে পারে এমন উদ্বেগকে শান্ত করে।
ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া সমেত বিশ্বের 22টি দেশ সোনার বাট উৎপন্ন করে এবং সরবরাহ করে। সোনার বাট ছাড়া, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া উভয় দেশেরই ক্রিকেট এবং যোগের প্রতি আসক্তি আছে। বহু বছর ধরে, এই দু’টি দেশ সাফল্যপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে এসেছে আর ভারত বিশ্বের মধ্যে অস্ট্রেলিয় সোনার সবথেকে বড় ক্রেতা।
বিশ্বের সবথেকে বেশি সোনার চাহিদা ভারতে হয় এবং আশা করা হয় এই মূল্যবান খাঁটি ধাতুটির বিশুদ্ধতম হবে। এক্ষেত্রে আশ্চর্যের বিষয় কিছু নেই যে ভারতের অন্যতম বৃহত্তম একটি সোনা সরবরাহকারী হল অস্ট্রেলিয়া-যে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম খাঁটি সোনার বাট উৎপাদন করে। অস্ট্রেলিয়ার পার্থ মিন্ট অস্ট্রেলিয়ান গোল্ড নাগেট তৈরি করে-যেটি আবার কখনও কখনও সোনার ক্যাঙ্গারু হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। এটি অস্ট্রেলিয় সরকারের সোনার কয়েনের সংস্করণ এবং এটি দেশে আইনি টেন্ডার হিসাবে রক্ষিত হয়। গোল্ড নাগেটটি 24 ক্যারেট সোনায় তৈরি এবং .9999 বিশুদ্ধ। এর ফলে এই গোল্ড নাগেটটি বিশ্বের বিশুদ্ধতম সোনার কয়েনগুলির একটি, এটির থেকে উৎকৃষ্টতম কেবলমাত্র কানাডীয় মেপল লিফ যেটির বিশুদ্ধতা .99999।
গোল্ড নাগেটটি 1986 সালে চালু হয়েছিল এবং কয়েনের দুই পাশে টু-টোন এফেক্ট সমেত এটির একটি অনন্য ডিজাইন ছিল। এই টু-টোন ডিজাইনটি মান্য সোনার বাটের জন্য সেই সময় অস্বাভাবিক ছিল, ফলত সহজেই গোল্ড নাগেটের প্রথমদিকেই এটি বাজার দখল করে ফেলেছিল। অফিসিয়াল পার্থ মিন্ট দোকান অনুযায়ী, গোল্ড নাগেটগুলি বিভিন্ন আকারের পরিসরে পাওয়া যেত, নূন্যতমটি হল এক আউন্সের 1/20 ভাগ এবং সবথেকে বড়টি 1 কেজি ওজনের। প্রতিটি কয়েনের একদিকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবি দেওয়া এবং অপর দিকে লাফানো ক্যাঙ্গারু ছবি। 2011 সালে, পার্থ মিন্ট বিশ্বের সবথেকে বড় সোনার বাটের কয়েন তৈরির জন্য অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে, যেটির ওজন আশ্চর্যজনকভাবে ছিল 1000 কিলোগ্রাম এবং দৈর্ঘ্যে ছিল 80 সেন্টিমিটার লম্বা এবং বেধ ছিল 3 সেন্টিমিটার।