Published: 09 ফেব্রু 2018
সোনা-ভাইবোনের ভালোবাসার চূ়ড়ান্ত প্রকাশ
ভাই বোনদের মধ্যে একটা বিশেষ বন্ধন থাকে, এক মুহুর্তে তারা একটা খেলনা ভেঙে দেবে, অন্য মুহুর্তে আবার শান্তভাবে একে অপরকে সাহায্য করবে৷ হিন্দুদের মধ্যে, এই বিশেষ বন্ধনটিকে বছরে দু’বার উদযাপন করা হয়, রাখি পূর্ণিমা আর ভাইদুজের মাধ্যমে৷
অধিক উত্তেজনামূলক দীপাবলীর পর ভাই দুজ সারা দেশে দারুণ উদ্দীপনার সাথে উদযাপিত হয়৷ অঞ্চলের ওপর নির্ভর করে এটির অনেক নাম রয়েছে যেমন ‘ভাই ফোঁটা’, ‘ভাই বিজ’, ‘ভাউবিজ’, ‘ভাত্রুদ্বিতীয়া’ অথবা ‘ভাতৃদ্বিতীয়া’, ‘ভাই দূজ’, তবে গুরুত্ব সব জায়গায় একই রয়েছে৷
হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, মৃত্যুর দেবতা যমরাজ দীর্ঘদিন তার বোন যমির থেকে আলাদা থাকার পর তার সাথে এই বিশেষ দিনটিতে দেখা করতে যায়৷ যমি তাকে আরতি ও তিলক দিয়ে সাদরে অভ্যর্থনা জানায় এবং মাল্য পরিয়ে দেয় আর তার জন্য বিশেষ বিশেষ খাবার তৈরি করে৷ তার বদলে যম ঘোষণা করে যে ভাইরা তাদের বোনের থেকে তিলক ও আরতি পাবে, তাদের কখনও ভীত হতে হবেনা৷ অন্য কিংবদন্তীতে বলা হয় ভগবান কৃষ্ণ নারকাষুরকে বধ করার পর তার বোন সুভদ্রার কাছে যখন ফিরে আসে তখন তার বোন তাকে তিলক, আরতি, মিষ্টান্ন ও ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা করেছিল৷
এই কারণের জন্য, আজও ভাই দুজের দিন, বোনেরা তিলক ও আরতির একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে৷ যখন ভাই-বোনেরা পরষ্পরের প্রতি তাদের সম্পর্ক ও ভালোবাসাকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার সুযোগ পায় তখন এই উৎসব সাথে নিয়ে আসে অনেক আনন্দ, স্নেহ এবং উষ্ণতা৷
সাথে এই দিন, ভাইরা বোনদের জন্য উপহারও নিয়ে আসে৷ তা টাকা হতে পারে অথবা সোনার মত কোন মূল্যবান জিনিষ৷ ভারতের পছন্দের ধাতু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরণের গহনা যেমন কানের দুল, নাকছাবি, হাতের বালা ইত্যাদি ভাইবোনদের মধ্যে সবথেকে বেশি পছন্দের বলে প্রমাণিত৷ সোনার গহনার সূক্ষ্ম ডিজাইন এবং ব্যক্তিগত ছোঁয়াকে পাশে রাখলে, এটি একটি ভালো বিনিয়োগ হিসাবেও বিবেচিত৷
ভারতে সোনার মূল্য প্রচন্ড এবং বিনিয়োগের অন্যতম একটি পছন্দ৷ দীপাবলীর সময় প্রথাগতভাবে সোনা কেনার ঘটনাটি অনেক ইতিবাচক কারণে হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে৷ এই হলুদ ধাতুটি দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যকর রিটার্ন দিয়ে থাকে৷ উপরন্তু, এটি কষ্টকর সময় আবশ্যিক আর্থিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকে৷ এর সাথে নিরন্তর চমক সোনাকে জনগণের মাঝে এতটা জনপ্রিয় করে তুলেছে৷ আর অবশ্যই ভাই-বোনের মাঝেও৷