Published: 27 সেপ্টে 2017
কিভাবে সোনার পুনর্ব্যবহার করা হয়?
সোনার পুনর্ব্যবহারের প্রক্রিয়াটি মানুষের নেওয়া অন্যতম একটি বুদ্ধিদীপ্ত উদ্যোগ৷ সোনা একটি মূল্যবান ধাতু যা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়, তৈরি করা যায়না আর তাই এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণই উপলব্ধ৷ এমনকি, সাম্প্রতিক গণনা অনুযায়ী বিশ্বের সোনার খনিগুলিতে বর্তমানে যে পরিমাণ সোনা আছে তাতে বর্তমান হারে খনন করলে তা আগামি 20 বছর পর্যন্ত থাকবে৷ যদিও এটি বিশ্বাস করা সহজ যে পৃথিবী গ্রহ বিশাল বড় এবং সম্ভবত সোনা কখনই সম্পূর্ণ ফুরিয়ে যাবেনা, কিন্তু বাস্তব এক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিবন্ধক তো বটেই৷ সোনা খননের ক্ষেত্রে, এটি আর্থিকভাবে সঙ্গত হওয়া জরুরি৷ লাভজনকভাবে সোনা খনন করা আমাদের কাছে ক্রমাগত দুরূহ হয়ে উঠছে৷ এর কারণ হল সোনার খননের নামে সহজেই ফল লাভের চেষ্টায় সেটি ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে এবং নবীনতম সাইটগুলির প্রতি ইউনিট জমিতে তুলনামূলক কম সোনা পাওয়া যায়৷
তাহলে আপনি কিভাবে সোনার পুনর্ব্যবহার বা রিসাইকেল করবেন?
সোনা পুনর্ব্যবহারের একটি জনপ্রিয় পথ হল কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স (উপভোক্তার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম)৷ ইলেকট্রনিক্স বা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলির মধ্যে স্বল্প পরিমাণ সোনা থাকে-প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিন সংযোগের বিন্দুতে৷ অনেক খামখেয়ালী ব্যক্তি আর কিছু পেশাদার ব্যক্তি বাতিল হওয়া কনজিউমার ইলেকট্রনিক দ্রব্যের উপাদান থেকে তাদের সময় ব্যয় করে সোনা নিষ্কাশন করে৷
উচ্চ ঘনত্বের সংযোগকারীগুলির সাথে পুরনো সার্কিট বোর্ডের খোঁজ দিয়ে এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়৷ সংযোগকারী বা কানেকটারের পিনগুলি গোল্ড প্লেটেড হয়৷ প্রতিটি সার্কিট বোর্ডের সমস্ত সোনা বোঝাই অংশ যত্নসহকারে খুলে দিয়ে তার মধ্যে একটি তীব্র অ্যাসিডের মিশ্রণ (নাইট্রিক অ্যাসিড এবং হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড) যোগ করা হয়৷ অ্যাসিড সোনার সাথে বিক্রিয়া করে গোল্ড ক্লোরাইড তৈরি করে৷ এই গোল্ড ক্লোরাইড তরল মিশ্রণের থেকে আলাদা হয়, এই মিশ্রণটিকে গরম করা হয় বা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ফিল্টারের মধ্য দিয়ে পাঠানো হয়৷ যেটি পরে থাকে তা হল এক ধরণের পাউডার যেটি সোনার গলণাঙ্কের থেকেও বেশিতে তাপ দিলে একটা ছোট্ট সোনার বিন্দু তৈরি হয়৷ একটি কম্পিউটার থেকে প্রাপ্ত এই সোনার বিন্দুটি হয়তো তেমন কিছুই নয়, তবে এটা জানার জন্য আকর্ষণীয় বিষয় যে 1টন iPhone-এ বিশ্বের যেকোন সোনার খনি থেকে উত্তোলিত 1টন আকরিকের তুলনায় বেশি সোনা থাকে৷