Published: 20 ফেব্রু 2018
শিবের ত্রিপুরা বিমান-প্রকৌশলগতভাবে অগ্রগণ্য প্রাচীন উড়ন্ত মেশিন
আপনি কি জানেন আকাশ যুদ্ধ এবং পশ্চাদ্ধাবন আমাদের প্রাচীন কালে অত্যন্ত সাধারণ বিষয় ছিল? আমরা শর্ত লাগাতে পারি যখন আপনি আমাদের প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্যগুলি পড়লে ফ্ল্যাস গর্ডন, বাক রগার্স এবং স্টার ট্রেক আপনার কাছে কিছুই মনে হবেনা! তাহলে, সত্যিই কি সেই সময় আকাশযান ছিল? সেগুলি দেখতে কেমন ছিল? মহাভারতে “লৌহ বর্ম এবং পক্ষ সজ্জিত একটি বায়বীয় রথ” হিসাবে একটি ‘বিমান’-এর উল্লেখ আছে৷ ময় দানব 12 কিউবিট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট একটি উড়ন্ত চাকা চালাত৷ রামায়ণে এগুলিকে গম্বুজ ও পোর্টহোল সমেত দ্বি-তল চক্রাকার আকাশযান হিসাবে বর্ণনা করা হত৷ রাক্ষস রাজ রাবণ একটি গগনচারী রথ চালাতেন যেটি দেখতে ছিল “আকাশের উজ্জ্বল মেঘ”-এর মত৷
খ্রী.পূ. 4র্থ শতাব্দীতে মহর্ষী ভরদ্বাজের রচিত বৈমানিক শাস্ত্রটি 1875 সালে ভারতীয় মন্দিরে পুনরায় আবিষ্কৃত হয়েছিল৷ কিভাবে বিমান পরিচালিত হয়, দীর্ঘ বিমানযাত্রার সময় কি কি সতর্কতা নিতে হয়, কিভাবে আকাশযানকে সুরক্ষিত করতে হয় ইত্যাদির বিস্তারিত বিবরণ ছিল এখানে৷ ঋগ্বেদেও “সুবর্ণ যান্ত্রিক পক্ষী” সম্পর্কে বলা আছে যা মানবকে স্বর্গে নিয়ে যেত৷ এক্ষেত্রে ত্রিপুরা অথবা ত্রিপুরাজিত বিমান নামক আকাশযানের উল্লেখ আছে যা বাতাসের মত দ্রুত ছুটতে পারত৷ বলা আছে যে এটি আসলে তৈরি করেছিল দেবাদিদেব শিব৷ বৈমানিক শাস্ত্র অনুযায়ী, এই তিন-তলার উড়ন্ত বিশালাকার বিমানটি প্রেরক শক্তি দ্বারা চালিত হত যা সৌর শক্তি থেকে উৎপন্ন হত৷ এটির একটি সম্প্রসারিত রূপ ছিল যা আধুনিক ব্লিম্পের সদৃশ৷
এটির 3টি আবরণ অথবা পরিবেষ্টনী অথবা স্তর ছিল৷ প্রতিটি আবরণকে বলা হত ‘পুরা’৷ যেহেতু এটি তিনটি আবরণ বেষ্টিত তাই এটিকে ত্রিপুরা বিমান বলা হত৷ তিনটি আবরণের প্রতিটি স্বাভাবিকভাবে সমুদ্র, ভূমি এবং আকাশে বিকল্প গঠনে ভ্রমণ করতে সমর্থ ছিল৷ এই বিভাজনসাধ্য বিমানটি ত্রিনেত্র লোহা ধাতু দিয়ে তৈরি হয়েছিল৷ বৈমানিক শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রথম অংশটি 100ফিট বিস্তৃত, 3ফিট পুরু, 80 ফিট লম্বা সমেত বৃত্তাকার অথবা বর্গাকার, 3ফিট বিস্তৃত, 5ফিট উঁচু নৌকাকৃতি ড্রোন যা জলেও চলতে পারে৷ যদিও, ভূমিতে বিমান চলার জন্য এটির চাকা টানার একটি সিস্টেম ছিল৷ দ্বিতীয় তলাটি 80 ফিট বিস্তৃত এবং 3 ফিট পুরু, প্রথম অংশের থেকে সামান্য ছোট৷ এই উচ্চ প্রযৌক্তিকভাবে উন্নত বিমানটির সুরযথাপোপাসংহার যন্ত্র অথবা জলন্ত-সূর্য থেকে সুরক্ষার মেশিন ছিল৷ এটির সৌররশ্মির থেকে গাঢ় আধেয় টেনে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল এবং সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে বিমানটিকে শত্রুদের থেকে লুকিয়ে রাখত, যেটিকে বলা হত গুধ অর্থাৎ লুকানোর ক্ষমতা!
তাহলে, আমাদের কি এই পাঠ্যগুলিতে বিশ্বাস করা উচিত? প্রথাগত ইতিহাসবিদ এবং প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই ধরণের লেখাকে প্রাচীন লেখকদের কিছু ভাবনাপ্রসূত অসংলগ্ন কল্পনা হিসাবে উপেক্ষা করেছেন৷ যদি সেগুলি বাস্তবে থেকে থাকে, তাহলে সেই বিমানগুলি কোথায়? সম্ভবতস সেগুলি দুনিয়া জুড়ে দেখা যাচ্ছে, UFO নামে!