Published: 31 আগ 2017
প্রসাধনীতে সোনা
প্রায় 30 শতাব্দী ধরে, পৃথিবীর ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার মধ্যে প্রাচীন মিশর ছিল সবথেকে বৃহৎ সভ্যতা। অনেকেই বিশ্বাস করে এখানেই প্রথম সোনা প্রসাধনী ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছিল। এমনকি, জনশ্রুতি আছে ফোলেমিক ইজিপ্টের শেষ ফ্যারাও, ক্লিওপেট্রা একটি 24 ক্যারেট সোনার তৈরি মুখোশের মধ্যে প্রতি রাতে শুতো যাতে রানির দেবীর মত সৌন্দর্য এবং নিশ্চিদ্র রূপ ধরে রাখা যায়। ত্বকের যত্নে সোনার উল্লেখ প্রাচীন চীন দেশীয় সভ্যতায়ও পাওয়া যায়, যেখানে অনেক সম্রাজ্ঞীই নিজেদের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য তাদের প্রাত্যহিক ত্বকের যত্নের সময় স্বর্ণ চূর্ণ ব্যবহার করত।
হাফিংটন পোস্টে (Huffington Post) কসমেটিক ডারমাটোলজি এবং কসমেটিক লেজার সার্জারিতে স্কিনকেয়ার ফিজিসিয়ান তাবাসুর মীর বলেছেন যে সোনা ব্রণর প্রদাহ শান্ত করতে পারে, ত্বকের লালভাব কমায় এবং মুক্ত মৌলগুলির বিরুদ্ধে ত্বককে রক্ষা করে যে মৌলগুলির ফলে বলি রেখা এবং সূর্যের দ্বারা ক্ষতি হয়। বহু শতাব্দী পরে, প্রদাহ-বিরোধী হিসাবে সোনা বাতরোগের বৈশিষ্ট্য যুক্ত আর্থারাইটিসের চিকিৎসার জন্য মেডিসিনে ব্যবহৃত হয়।
এক্ষেত্রে আশ্চর্যের কোন বিষয় নেই যে বিশ্ব জুড়ে স্পা এবং বড় প্রসাধনী ব্র্যান্ডগুলি আবার ত্বকের যত্নের চিকিৎসার জন্য সোনাকে অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করেছে এবং এটির ওপর লক্ষ্য রাখছে, প্রাচীন পন্থাগুলি অনুসরণ করে। বিশ্ব সোনা কাউন্সিল অনুযায়ী, জাপানের মত এশিয়ার দেশগুলিতে সোনার পাতার ফেসিয়ালের চিকিৎসা প্রচন্ডভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সমর্থকরা বলছে যে এই চিকিৎসা আপনার ত্বককে পুনর্জীবিত করতে এবং সূক্ষ্মরেখা ও বলিরেখা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তারা এও ব্যাখ্যা করেছে যে ত্বকের যত্নের উপকরণ হিসাবে সোনার সাফল্যের পিছনে প্রধান কারণ হল এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা আটকে রাখে এবং আপনার ত্বককে অপরিবর্তনীয় রাখে।