Published: 20 ফেব্রু 2018
সোনায় মোড়ানো দক্ষিণভারতের বিয়ের কনেরা
ভারতীয়দের জন্য, বিবাহ এমন একটি অনুষ্ঠান যা জীবনে একবারই আসে। এই বিবাহটিকে স্মৃতিমেদুর করে তোলার একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য ভাবনা হল সেটিকে বর্ণাঢ্য আড়ম্বরপূর্ণ করে তোলা। তারা তাদের জীবনের সমস্ত উপার্জন খরচ করে, বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়দের থেকে ধার করে, তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে আর প্রায় নিজেদের গলা পর্যন্ত ঋণের বোঝায় ডুবিয়ে দেয়। তাই, এটা বলা ভুল হবে না, “ভালোবাসা, যুদ্ধ এবং বিবাহে সবই ন্যায্য।”
বিশ্বের অন্যতম বড় সোনার গ্রাহক হল ভারতীয়রা। আপনি দেখতে পাবেন সমৃদ্ধশীল পরিবারগুলি বহু টন গহনা তাদের বিয়েতে খরচ করে। এই সোনার পাগলামি দক্ষিণ ভারতে বেশ স্পষ্ট। যদি আপনি কোন দক্ষিণ ভারতের বিয়েতে উপস্থিত থাকেন, আপনি জানবেন কিভাবে বিয়ের কনে সোনায় মোড়া থাকে। এই চমকপ্রদ ধাতু দিয়ে নিজেদের সাজানোর পাশাপাশি, এটির তারল্য আর্থিক সঙ্কটের সময় অনেক নিরাপত্তা দেয়। প্রথাগতভাবে, হিন্দু ধর্মে, সোনা সম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে প্রতীকায়িত করে এবং তাই এটি শুভ বলেও বিবেচিত।
বিশ্ব সোনা কাউন্সিল ভারতে সোনার চাহিদা সম্পর্কে শ্যেন দৃষ্টি দিতে কিছু সংখ্যার গণনা করেছে। তার ভারতের সোনার বাজার: মূল্যায়ন এবং উদ্ভাবন রিপোর্ট বলছে যে কেরালার বিয়ের কনেরা সবথেকে বেশি সোনা পরে-320গ্রাম অথবা 40টি স্বতন্ত্র গহনা। অন্যদিকে, অন্ধ্র এবং তামিলনাড়ুর বিয়ের কনেরাও প্রায় কাছাকাছিই রয়েছে, গড়ে তারাও 300গ্রাম মত সোনা পরে।
সোনার প্রতি আমাদের চিরন্তন আকর্ষণের প্রতি জোড় দিয়ে, প্রতিবেদনটি বলেছে ভারতে 18-33 বছর বয়সের উত্তরদাতাদের মধ্যে প্রতি তৃতীয় ব্যক্তি বলেছে যে তারা পঞ্চাশ হাজার টাকা পেলে সোনায় বিনিয়োগ করবে। দক্ষিণের সোনার গ্রাহকদের প্রায় 40% আসছে মূল কেন্দ্র হায়দ্রাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই এবং কোচি থেকে। পশ্চিমের 25% গ্রাহক আহমেদাবাদ এবং মুম্বাইয়ের, যেহেতু এগুলি প্রধান কেন্দ্র। নিউ দিল্লি এবং জয়পুরকে প্রধান কেন্দ্র করে উত্তরভারতের চাহিদা 20%। কোলকাতা হল পূর্বদিকের প্রধান কেন্দ্র এবং এখানে সোনার চাহিদা 15%।
কোন বর্ণাঢ্য বিবাহই সোনা ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারেনা।