Published: 04 সেপ্টে 2017
স্বাস্থ্য নিদানবিদ্যায় সোনা
চিকিৎসাক্ষেত্রে ভেষজ প্রতিনিধি হিসাবে অভিজাত ধাতুসমূহ এবং তাদের যৌগগুলির দীর্ঘ সময়ের এবং স্বতন্ত্র ইতিহাস আছে।
ঢাকার সায়েন্স স্টেট কলেজ অফ হেল্থ সায়েন্সেস এং ঢাকার মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটালের গবেষণা অনুযায়ী সাম্প্রতিক কিছু বছর ধরে জীবতাত্ত্বিক এবং বায়োমেডিকেল প্রয়োগের ক্ষেত্রে ন্যানোমেটেরিয়ালের ডিজাইন ও চর্চার গতি দ্রুত বেড়ে চলেছে। সোনার ন্যানোপার্টিক্যাল তাদের বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহার ও প্রয়োগের কারণে এখন নিয়মিত সোনার তুলনায় আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছে।
সোনার ন্যানোপার্টিক্যালগুলি উপচিতি ও এনট্র্যাপমেন্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টিউমারের কোষগুলিকে লক্ষ্য করে, এগুলি পারমিয়েশান (permeation) এবং রিটেনশান (retention) প্রভাব হিসাবে পরিচিত এবং আঙ্গিওজেনিক ধমনী এবং অপ্রকৃত লসিকানালীর (lymphatic) প্রবাহ দ্বারা আরোপিত। ফলত, ন্যানোপার্টিক্যালগুলি বাছাই করে কর্কটরোগ-সম্বন্ধীয় কোষগুলির মধ্যে সাধারণ কোষের তুলনায় উচ্চমাত্রা সমাবেশের মাধ্যমে স্তূপাকৃত হতে পারে।
ঢাকার মেডিক্যাল কলেজ ফল উইমেন অ্যান্ড হসপিটালের ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োকেমিস্ট্রি এবং ডিপার্টমেন্ট অফ মেডিসিনের যুগ্ম প্রবন্ধ অনুযায়ী, সোনার ন্যানোপার্টিক্যাল তীব্র প্রভাব আকর্ষণ করে, কারণ তারা সাধারণত প্রস্তুত থাকে, সহজাতরূপে কম বিষাক্ত হয়, উচ্চ পৃষ্ঠতল থাকে, সহজেই জৈবিক আগ্রহের অণুগুলির সাথে সংযুক্ত হয় এবং ফোটো-ফিসিক্যাল ও অপটিক্যাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। কেমোথেরাপি, ক্যান্সার নির্ণয়, ব্যাকটেরিয়া-সংক্রান্ত রোগ নির্ণয় এবং ওষুধ ডেলিভারির সময় এই অনন্য গুণগুলির দারুণ গুরুত্ব রয়েছে।
2017সালের প্রথম দিকে, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনির্ভাসিটির গবেষক, সহযোগী অধ্যাপক টোনী হু-এর নেতৃত্বে একটি বহু-প্রাতিষ্ঠানিক দল নেচার বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তাদের ফলাফলের রিপোর্ট দেয়, এবং অগ্নাশয়ের (pancreatic) ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য সোনা ব্যবহার করে একটি নতুন রক্ত পরীক্ষা আবিষ্কার করেছে বলে দাবি করে। এই রোগটি একটি অন্যতম ভয়ঙ্কর ক্যান্সার যেহেতু অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে না পরলে এটি ধরা পরেনা এবং অগ্নাংশয়ের ক্যান্সার সমেত একমাত্র 8 শতাংশ মানুষ রোগ নির্ণয়ের পরে পাঁচ বছর বা তার কিছু বেশি সময় বাঁচে (স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটি)।
গবেষকরা সোনার ন্যানোপার্টিক্যাল ব্যবহার করে একটি বায়োসেন্সার তৈরি করেছে যা বাছাই করে ক্যান্সার প্রোটিনকে বাঁধে, এটির হালকা নির্গমনেপ বৈশিষ্টকে পরিবর্তন করে। গবেষকরা সঠিকভাবে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার পীড়িত রোগীকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছিল-এমনকি যারা রোগটির প্রাথমিক স্তরে ছিল-তাদের সাথে যে রোগীদের দীর্ঘকালীন অগ্নাশয়ের প্রদাহ হচ্ছে সেই ব্যক্তিদেও শনাক্ত করেছিল।
দীর্ঘতর ক্লিনিকাল পরীক্ষার পর অগ্নাশয়ের ক্যান্সার আছে কিনা দেখার জন্য রক্ত পরীক্ষা ব্যবহৃত হতে পারে এবং প্রতিবছর হাজার হাজার নিষ্পাপ জীবন বাঁচাতে পারে।