Published: 18 মে 2018
মহেঞ্জোদরো সভ্যতা থেকে সোনার গহনার ডিজাইনসমূহ
প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার অন্যতম বৃহত্তম উপনিবেশ, মহেঞ্জোদরো ছিল একটি হরপ্পার শহর যা 2600 এবং 1900 খ্রীস্টপূর্বাব্দে বিকশিত হয়েছিল। খুব বেশি প্রত্নতাত্ত্বিকরা এখানে খনন করেন নি, কিন্তু যা খুঁজে পাওয়া গেছে তার ওপর ভিত্তি করে, সোনার গহনা, হরপ্পার মানুষদের ছেড়ে যাওয়া পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পুরুষানুক্রমে পাওয়া একটি উল্লেখযোগ্য বস্তু হিসেবে গণ্য হয়েছে।
মহেঞ্জোদরোর সোনার গহনার কিছু ডিজাইন এক ঝলক দেখুন যা সেই সময়ের মানুষের রুচির পরিচয় দেয়।
- নেকলেস:
সেই সময়ে অন্য পাথর বসানো সোনার নেকলেসগুলি ছিল সবসময় পরার অলঙ্কার। এই ডিজাইনগুলো কমপক্ষে 5,000 বছরের পুরনো। বিভিন্ন আকারের সোনার পুঁতিগুলিকে সোনার চেন দিয়ে সংযুক্ত করার ছিল সোনার নেকলেসের সবথেকে জনপ্রিয় ডিজাইন। এটা ভাবতেও অবাক লাগে যে ভারতের আধুনিক গহনার দোকানগুলোর তাকে এখনও সোনার নেকলেসের এই ডিজাইন শোভা পায়।
- পুঁতি:
এই সময়ে যে সোনার পুঁতি দেখতে পাওয়া যায় তা সোনার পাত দিয়ে মোড়া তামা বা তামার সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি করা হত। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, সোনার পাতের বদলে সোনার ইলেক্ট্রোপ্লটিং ব্যবহার করা হয়।
- মাথার ব্যান্ড:
একটি মাথার ব্যান্ড সাধারণত কাপড় বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় এবং চুলের একটি সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু দেখা গেছে যে প্রচলিত মহেঞ্জোদরো ডিজাইনগুলো সোনার পাতগুলোকে পিটিয়ে সমান করে তৈরি করা হয়েছিল এবং অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হত বলে মনে করা হয়। যদিও ডিজাইনগুলো নতুন এবং সমসাময়িক স্টাইলে প্রকাশ পেয়েছে, তবুও এই ধরনের গহনা আজকালকার মহিলাদেরও পছন্দ, এবং ‘মাথা পট্টি’ হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
সেই সময়ে খুব বেশি পরা হত একটি অদ্ভুদ ধরনের গহনা হল সোনার চাকতি। ভিতরে খোদাই করা এই সোনার উপকরণ জমকালো গহনার মধ্যে লাগানো থাকত, যেমন “চোখের মণি”, যেটি সাধারণত একটি মাথার ব্যান্ডের মাঝখানে লাগানো থাকত। মহেঞ্জোদরোর ধ্বংসাবশেষে একজন মুখ্য-পুরোহিতের ভাস্কর্যে এটি দেখতে পাওয়া গেছে, যা নিচে দেখানো হল।
খ্রীস্টপূর্বাব্দ থেকে শুরু করে মহেঞ্জোদরো সভ্যতা থেকে বিভিন্ন ধরনের অলংকারে সোনা ব্যবহার করা হয়েছে।