Published: 04 সেপ্টে 2017
আরও কার্যকর ওষুধ প্রয়োগের উত্তর হতে পারে সোনা
সেন্ট. লুইসের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াসিংটন (ইউডাব্লু) –এর মত অনুযায়ী, 100 বছরেরও বেশি সময় আগে এটি আবিষ্কার হয়েছিল যে যখন কোন পশুর উপশিরায় ব্লু ডাই ইঞ্জেক্ট করা হয়, তখন মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ড ছাড়া সারা শরীরের শিরা নীল হয়ে যায়। বিপরীত ক্ষেত্রেও একই হয়- যখন ডাই মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডে প্রেরণ করা হয়, তখন মনে হয় সেটি আটকে গেছে, এবং সেটি শরীরের অন্য কোন শিরায় আর ছড়িয়ে পরেনা।
এইভাবেই বিজ্ঞানীরা ‘রক্ত-মস্তিষ্কের-বাঁধা’ (Blood-Brain-Barrier, BBB) সম্পর্কে শিখেছিল, যা মস্তিষ্কের মাইক্রো পরিবেশ( microenvironment) নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তের মধ্যে উপাদানকে সীমিত করে যাতে তা মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে না পারে। ন্যানোবায়োটেকনোলজির জার্নাল অনুযায়ী এটি অনেক মেডিকেল চিত্র এবং চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
মেডিসিনে আরও ভালো প্রযুক্তি এবং অগ্রগতি থাকা সত্ত্বেও, একটি সমস্যা সাম্প্রতিককালে গবেষকরা তুলে ধরেন আর সেটা হল-কিভাবে মস্তিষ্কের সরাসরি চিকিৎসার জন্য আমরা গুরুত্বপূর্ণ, অথচ প্রায় জীবন-দায়ী ওষুধ BBB-র মাধ্যমে পাঠাব?
ইউডাব্লু গবেষকরা হয়তো একটি পথ বের করেছে-আর সেটির সাথে সোনা সংযুক্ত।
এখনও পর্যন্ত, এই প্রযুক্তিটি কেবলমাত্র পঙ্গপালের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে, যাদের BBB মানুষের সদৃশ। বিশেষ আয়তন, আকার, বৈদ্যুতিক চার্জ এবং ফ্লুরসেন্ট ট্যাগের সাথে সোনার ন্যানোপার্টিকেলগুলি তৈরি করা হয়েছিল যাতে পঙ্গপালের মধ্যে তাদের গতিবিধি ট্র্যাক করা যায়।
সোনার ন্যানোপার্টিকেলগুলি পঙ্গপালের শুঁড়ের ওপর ছিটিয়ে দেওয়া হয়। গবেষকরা ফ্লুরোসেন্ট ট্যাগের মধ্য দিয়ে সোনার গতিবিধি লক্ষ্য করে, এটি নার্ভের মধ্য দিয়ে গিয়ে BBB অতিক্রম করে পঙ্গপালের মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। এটি একটি বিশাল সাফল্য এবং গবেষকদের ভাবায় ভবিষ্যতে এর অর্থ কি হতে চলেছে।
ইউডাব্লুর গবেষকদের পরবর্তি পদক্ষেপ হল ক্যান্সার চিকিৎসার মত জায়গায় আসল ওষুধ এই সোনার পার্টিকেলগুলির সাথে সংযুক্ত করা। যদি সফল হয়, ধীরে ধীরে, ক্যান্সারের ওষুধের মত মস্তিষ্ক-লক্ষ্য করে ওষুধ নাকের স্প্রের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব হবে।