Published: 06 সেপ্টে 2017
বিশ্বের সোনার শহরগুলি
সবথেকে জনপ্রিয় সোনার শহর হল এল ডোরাডো৷ এর পিছনে থাকা জনশ্রুতিকে আবিষ্কারের চেষ্টায়, বহু বছর ধরে, হাজার হাজার ইতিহাসবিদ সাহিত্যের পাতায় ডুব আদতে ডাকনাম ‘সোনালী শহর’ বা ‘সোনার শহর’? এবার আমরা দেখে নেব এগুলির প্রত্যেকটির পিছনে থাকা গল্পগুলিকে, হতে পারে এরই মধ্যে আপনি আবিষ্কার করলেন আপনি এর কোন একটিতে বাস করেন!
-
জহনেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা
আপনি কি জানেন দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জহনেসবার্গ, ঈগলি নামেও পরিচিত? জুলু ভাষায় ঈগলি নামের অর্থ ‘সোনার শহর’ এবং এই শহরটিকে এই নামে ডাকা হয় কারণ এটি আসলে একটি সোনার খনি যেখানে বিশাল মাত্রায় সোনার উৎসের ব্যবসা পরিচালিত হয়৷
-
দুবাই, ইউএই
সোনা কেনার জন্য দুবাই খুবই ভালো জায়গা৷ হাজার হাজার দুবাইবাসী ও পর্যটকরা জনপ্রিয় গোল্ডসোক-এ বিভিন্ন আকারে এবং মাপে সোনা পায় যেখানে 300-র বেশি সোনার খুচরো বিক্রেতার দোকান রয়েছে এবং যেকোন সময় 10টনের মত সোনা তারা দিতে পারে! বিশ্বজনীন সোনার ব্যবসায় দুবাই সবসময়ই বড় অংশীদার৷ 2016 সালে, ইউএই-তে আনুমানিক সোনার চাহিদা 49টন ছিল৷
-
কাঞ্চিপুরম, ভারত
কাঞ্চিপুরম-শহরটি তামিলনাড়ুতে অবস্থিত৷ তামিল সাহিত্য অনুযায়ী, শুরুতে এটির নাম ছিল ‘কাঞ্চি’৷ পরবর্তিতে এটির নাম হয় ‘কাঞ্চিপুরম’ যার অর্থ ইংরাজিতে ‘সোনালী শহর’৷ এই শহরটি তার অনন্য কাঞ্জিভরমসিল্ক শাড়ির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত৷ কি কারণে এটি অনন্য হয়ে উঠেছে? কাঞ্জিভরম সিল্কে যে সোনা আপনি দেখেন সেটি আসল সোনা, মনোরম জরি-র প্যাটার্ন দেওয়ার জন্য সোনার সুতো ব্যবহার করে বোনা হয়৷ কিভাবে আপনি আসল কাঞ্জিভরম সিল্ক শাড়ি চিনবেন তা একবার দেখে নেওয়া যাক-যদি আপনি সাবধানে লক্ষ্য করেন এবং দেখেন যে শাড়ির বডি এবং বর্ডার বা পারটা আলাদা দুটি টুকরো এবং একসাথে বোনা হয়েছে, তখনই বুঝবেন সেটা আসল কাঞ্জিভরম সিল্ক শাড়ি!
-
অমৃতসর, ভারত
অমৃতসর ভারতের পাঞ্জাবে অবস্থিত৷ এটি ভারতের সোনার শহর হিসাবে পরিচিত কারণ হল স্বর্ণ মন্দির-শিখদের পবিত্রতম মন্দির এই শহরে অবস্থিত৷ আপনি কি জানেন 90এর দশকে এই স্বর্ণ মন্দিরটির 24-ক্যারেটের 500কেজির সোনা দিয়ে নবরূপ দেওয়া হয়েছিল?
অনুসঙ্গী: 7 Amazing facts about the Golden Temple
-
জেরুজালেম, ইসরায়েল
জেরুজালেমকে বিশেষত সঙ্গীতে সোনার শহর বলা হত৷ জেরুজালেমে অবস্থিত ইসলামের প্রাচীনতম স্মৃতিস্তম্ভ চমৎকার ‘ডোম অব দ্য রক’ এর কারণ হতে পারে৷ মূলত সোনায় তৈরি, এই মঠের গম্বুজটি তামা ও অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে, যা পরবর্তিতে সোনার পাতা দ্বারা আচ্ছাদিত হয়েছিল৷
-
ব্যালারেট এবং বেন্ডিগো, অস্ট্রেলিয়া
ব্যালারেট এবং বেন্ডিগো শহর দুটি 1800এর স্বর্ণ দৌড়ের পর যে অর্থ এনেছিল তার কারণেই এরা অস্ট্রেলিয়ার সোনার শহর নামে পরিচিত৷ স্বর্ণ দৌড় হল এমন একটি ঘটনা যখন হাজার হাজার মানুষ নতুন আবিষ্কৃত সোনার খনি থেকে দাবিহীন সোনা লুটে নেওয়ার জন্য পাড়ি জমায় সেই স্থানে৷ 1851 সালে, জেমস রেগান ব্যালারেটে সোনার খনি আবিষ্কার করেন৷ তিনি তাঁর বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন যখন তিনি খনিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, আর এইভাবই ব্যারালেটের স্বর্ণ দৌড় শুরু হয়৷ 1853 সালে, আনুমানিক 9000 কেজি সোনা ব্যারালেটে পাওয়া যায়৷ 1856 সালে ব্যারালেটে পাওয়া সোনার তালের একটি ছবি এখানে দেওয়া হল৷
-
ভিচেনজা, ইতালি
ভিচেনজা উত্তর-পূর্ব ইতালির একটি বহুজাতিক শহর, এই শহরটিও সোনার শহর হিসাবে পরিচিত৷ কিন্তু আপনি কি জানেন ভিচেনজা স্বর্ণকারদের বিশ্বজনীন রাজধানী? কারণ ইতালির এক পঞ্চমাংশ সোনা এখানে তৈরি হয়৷
পৃথিবীতে বেশ কিছু শহর আছে যেগুলি প্রখ্যাত সোনালী শহর৷ আপনার ভ্রমণের ঝুলিতে এই রত্নগুলি যোগ করুন আর সোনার ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে জানুন৷
আপনার ঝুলিতে এই সোনালী শহরগুলিকে যোগ করুন আর দীর্ঘ সময় ধরে সোনাকে আবিষ্কার করে চলুন!