Published: 04 সেপ্টে 2017
সোনালী ধোসা
সাধারণ ধোসা ভারতের আইটি-র রাজধানীতে পেয়েছে এক রাজকীয় টুইস্ট।
সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে জনপ্রিয় ভারতীয় প্যানকেক প্রায় 2 শতাব্দি আগে দক্ষিণ ভারতে তার যাত্রা শুরু করেছিল। যদিও জন্মস্থান বিষয়ে সম্পূর্ণ অনুমান করা হয়েছে, তবে প্রচলিত ভাবে, এটিকে প্রায়সই কর্ণাটকের উডিপির সাথে যুক্ত করা হয়। এমনকি কে.টি. আচার্যের আমাদের খাবারের কাহিনী (The Story of Our Food)বই অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারতের শাসক তৃতীয় সোমেশ্বরের দ্বারা সম্পাদিত 12শ শাব্দির সংস্কৃত এনসাইক্লোপিডিয়া মানাসোল্লাসা-তে ধোসা (ধোসাকা হিসাবে) তৈরির প্রণালী বিষয়বস্তু হিসাবে রয়েছে।
আজ, দেশে ধোসা বিভিন্ন নামে অজস্র ধরণে উপলব্ধ। পরীক্ষামূলক মানসিকতার মানুষদের সবথেকে কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রথাগত মশালা ধোসা এবং রবা ধোসা থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের টুইস্টে তৈরি চাইনিজ ধোসা এবং চকলেট ধোসা হয় অগণিত বার এটি পরিবর্তিত এবং পরীক্ষিত হয়েছে।
ব্যাঙ্গালুরুর মাঝে, একজন সাহসী রেস্তোরার মালিক এমন এক ঝুঁকি নেয় যা আগে কেউ নেয়নি। আমাদের ইতিহাসে প্রথমবার, রাজ ভোগ রেস্টুরেন্ট তাদের গ্রাহকদের জন্য এমন ধোসা আনল যা খাঁটি সোনার প্রলেপ দিয়ে আচ্ছাদিত।
গ্রাহকদের একটি চমৎকার আহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল যার মধ্যে আছে একটি প্লেন ধোসা, ধোসাটির ওপরে 12 সেমি বাই 12 সেমি সোনার ফয়েলে ছড়ানো 1 মিলিগ্রাম খাঁটি সোনা রয়েছে। BBC তামিল সার্ভিসের পি. শিবরামকৃষ্ণানের মত অনুযায়ী, এই বিলাসবহুল খাদ্যটি পাওয়া যায় ভারতীয় মূল্যে 1,011টাকায় (প্রায় 20টি সাধারণ ধোসার মূল্য)।
প্রাচীন ভারতীয়রা সবসময় সোনার প্রতি আসক্ত ছিল এবং এই মূল্যবান ধাতুটি মধুমেয় এবং আর্থারাইটিসের মত রোগ সারাতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হত। তাই এতে আশ্চর্যের কিছুই নেই যে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের পদাঙ্কই অনুসরণ করছি। কেবলমাত্র এখন, যে ব্যক্তি তার আহারটিকে সামান্য জাহির করতে চায় সে এই রাজকীয় আহারটি উপভোগ করতে পারে।