Published: 05 সেপ্টে 2017
সোনার প্রতি গ্রামীণ ভারতের বিশ্বাস
ভারত একটি বড় দেশ যার 60% অধিবাসী গ্রামাঞ্চলের। যখন শহুরে ভারত চাকরি, সুবিধা এবং জীবনযাত্রার নামে এগিয়ে চলেছে তখন গ্রামীণ ভারত ক্রমশ নিজের পদক্ষেপ রাখছে। অতীতে, কোন পরিবারে কত পরিমাণ সোনা আছে তার ভিত্তিতে সেই পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি মূল্যায়ন করা হত। বিবাহ, উৎসবের মত অনুষ্ঠানে, মহিলারা তাদের অলঙ্কারের মাধ্যমে তাদের পরিবারের সমৃদ্ধি প্রদর্শন করে এবং এই দিক থেকে সোনা সবথেকে সেরা পথ।
যে কোন ব্যক্তির জন্য সোনা অন্যতম তরল সম্পত্তি। সোনাকে নগদে পরিণত করা খুব সহজ, এমনকি এটির পুনর্বিক্রয় মূল্যও অন্যান্য বিনিয়োগের থেকে তুলনামূলক বেশি। ফলত, গ্রামবাসীরা সঙ্কটের সময় নগদের জন্য সোনার জিনিস বন্ধক রাখাকে ব্যাঙ্কের যাওয়ার থেকে বেশি সহজ বলে মনে করে।
বিশ্ব সোনা কাউন্সিলের মতে, ভারতে সমস্ত সোনা ক্রয়ের দুইয়ের তিন অংশের জন্য গ্রামীণ অধিবাসীগণ দায়বদ্ধ। সোনার সাথে এই নিশ্চলতার কারণ হল এক বিশ্বাস যে একটা গহনা/সোনা তার মালিকের কাছে বহু বছর থেকে যাবে।
কেরল, অন্ধ্র প্রদেশের মত ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বিয়ের কনেরা তাদের বিয়ের দিন সাধারণত গড়ে 300 গ্রাম সোনা পরে। পরিবারগুলি মেয়েদের জন্মের পর থেকেই সোনা কিনে সঞ্চয় করা শুরু করে দেয়। বিয়ে শুভ অনুষ্ঠান এবং উৎসব ছাড়া, ভারতের গ্রামীণ অধিবাসীরা নবান্নের মরসুম শেষে বেশিরভাগ সোনা কেনে। গ্রামীণ ভারতের মত অনুযায়ী সোনা যেমন বিবাহের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়, তেমনই এটি একটি তরল সম্পত্তি।
সোনা কেবলমাত্র অলঙ্করণের ধাতু নয় সাথে ভবিষ্যতের সঞ্চয় হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এর চমক সবসময় গ্রাহকদের আকর্ষণ করে, বিশেষত গ্রামীণ ভারতকে। আশা করা যায় এই পদক্ষেপ আমাদের সোনাপ্রেমী দেশে ক্রমশ আবক্র পথ অতিক্রম করবে।