Published: 27 সেপ্টে 2017
অপ্রত্যাশিত সোনা: গ্রহাণু
গ্রহের পৃষ্ঠতলের খননযোগ্য সোনা দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে সোনার ভবিষ্যত বিপদগ্রস্ত৷ গোল্ডম্যান স্যাচের (Goldman Sachs’) বিশ্বজনীন বিনিয়োগ গবেষণার দলের মত অনুযায়ী, বর্তমান হারে সোনা খনন চললে খননযোগ্য আমানতের সময়সীমা-আর মাত্র 20 বছর৷ আমানত এবং খনিগুলিতে ধাতুর ঘনত্ব কম থাকার কারণে সোনার খনন ক্রমশ ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে৷
সোনা আমাদের জীবনের সাথে প্রচন্ডভাবে আন্তঃজড়িত৷ আমরা আমাদের দাঁত রক্ষা করার জন্য এটি দন্ত চিকিৎসায় ব্যবহার করি, নিজেদের সাজানোর জন্য গহনা বানাই, এমনকি আমাদের সমস্ত বৈদ্যুতিক ডিভাইসেও সোনা উপলব্ধ৷ ক্রমশ কমে আসা সোনার পরিণতি আমাদের গ্রহের বহু শিল্পে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করবে এবং এটি এমন একটি পরিস্থিতি যা আমরা হয়তো ভাবতেও চাইনা৷ এই সমস্ত কারণেই, বৈজ্ঞানিক, ইঞ্জিনিয়ার এবং ভূতত্ত্ববিদরা একত্রিত হয়ে সোনার উৎসের বিকল্প পথ খুঁজছে এবং তাদের মধ্যে কিছুজন আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন৷
গ্রহাণু হল ছোট পাথুরে পদার্থ যা সূর্যের কক্ষপথে ভ্রমণ করে৷ এগুলি গ্রহের থেকে অনেকটাই ছোট হয় এবং আকৃতিতে অনিয়মিত হয়৷ তবে, কিছু গ্রহাণু ভাসমান সোনার খনি হতে পারে৷ 1998সালে, নাসার আর্থ অ্যাস্টারয়েড রেন্ডেজভা (NEAR)মহাকাশযানের পাশ দিয়ে ইরোস (Eros)নামক গ্রহাণু অতিক্রম করে৷ ইরোস একটি অনিয়মিত আকৃতির গ্রহাণু ছিল যার আয়তন 33কিমি বাই 13কিমি বাই 13কিমি এবং যার চর্চা করে দেখা গেছে এখানে প্রায় $20,000 বিলিয়ন ডলার মূল্যের মূল্যবান ধাতু আছে, যার অন্তর্ভুক্ত সোনা, প্ল্যাটিনাম, জিঙ্ক বা দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম, রূপো এবং আরও অনেক৷
নাসার হিসাব অনুযায়ী যদি ইরোসের পাথুরে উল্কার মত কিছু পৃথিবীর মাটিতে পাওয়া যায় ও তদন্ত করা হয়, তাহলে অন্তত ইরোসের ভরের 3% গ্রহাণুর অভ্যন্তরস্থ ধাতুগুলিতে আরোপিত করা যাবে৷ হিসাব অনুযায়ী ইরোসে সোনার পরিমাণের মূল্য $1,000 বিলিয়নের বেশি৷ আমরা কেবলমাত্র বাজারে কত পরিমাণ সোনার আমদানি হতে পারে তার জল্পনা করতে পারি, তবে এখনকার মত, ইরোসে খননের উদ্যোগ নিলে কিভাবে এই মূল্যবান ধাতুগুলি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায় নাসা সেই প্রতিবন্ধকতা সামলানোর চেষ্টাই করছে৷