Published: 20 আগ 2018

সোনা কেনার সময় রসিদ নেওয়া বাঞ্ছনীয় কেন?

Buying gold with an invoice ensures safeguarding your purchase

আপনি হয়তো কিছু সোনার দোকানদারের শুনে থাকবেন যারা কোন রসিদের পরিবর্তে ছাড়ের প্রস্তাব দেয় অথবা জুয়েলাররা কোন সাদা কাগজে অস্থায়ী রসিদ লিখে দেয়।

পরের বার সোনার গহনা কিনতে গিয়ে আপনি এই রকম পরিস্থিতিতে পরলে কি করবেন? আপনি কি সেই জহুরির কাছেই যাবেন যে স্থায়ী রসিদ দেয় নাকি যে কোন বিল দেয় না অথবা অস্থায়ী বিল দেয় সেরকম কারোর কাছে যাবেন।

যখন আপনি সোনা কিনবেন তখন স্থায়ী রসিদ নেওয়ার অনেক কারণ আছে।

কিন্তু তার আগে, অস্থায়ী আর স্থায়ী রসিদের পার্থক্যটি বুঝে নেওয়া যাক:

অস্থায়ী বনাম স্থায়ী রসিদ


অস্থায়ী রসিদ বিক্রেতা কোন ক্রেতাকে কোন আইটেম ক্রয়ের ওপর দিয়ে থাকলেও এটি বিক্রেতার অ্যাকাউন্ট বা হিসাবের খাতায় প্রতিফলিত হয় না। ফলে, সে আয়কর বাঁচাতে পারে এবং গ্রাহক বিভিন্ন কর প্রদান (বর্তমানে GST) এড়িয়ে চলতে পারে। একটি অস্থায়ী রসিদে কেবলমাত্র সোনার দোকানের নাম (যেখান থেকে গহনাটি কেনা হচ্ছে) এবং যে গহনাটি কেনা হচ্ছে তার নাম থাকে। এটি প্রায়সই সাদা কাগজে লেখা হয় এবং এস্টিমেট বা মোটামুটি হিসাব বলে পরিচিত হয়। এই ধরণের লেনদেন কালোটাকা উৎপাদন করে।

অন্যদিকে, একটি স্থায়ী বিল বা রসিদের ভিত্তি হল আইনি লেনদেন এবং নিম্নলিখিত বিষয় সমেত অনেক বিবরণকে অন্তর্ভুক্ত করে:

  1. কেনা সোনার বিশুদ্ধতা
  2. সোনার দোকানের নাম এবং কোড
  3. আপনি যার জন্য দাম দিচ্ছেন সেই সঠিক পরিমাণ সোনার বিচ্ছিন্ন করা মূল্য এবং অতিরিক্ত মূল্য যেমন মেকিং চার্জ এবং অপচয় মূল্য।
  4. সোনার দোকানের GST চিহ্নিতকরণ নম্বর
অনুষঙ্গী: সোনা ক্রয়ের সহজীকরণ: এক নজরে মেকিং চার্জ এবং অপচয় খরচ
তাহলে, স্থায়ী রসিদ নেওয়া এতটা গুরুত্বপূর্ণ কেন যা যথার্থভাবে আপনার লেনদেন নথিকৃত করবে?
  1. বিশুদ্ধতার পরিচায়ক

    স্থায়ী রসিদ আপনার সোনা ক্রয়ের একটি সরকারী রেকর্ড। একটি বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা প্রদান করে। এটি কর সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্নে আপনাকে সহায়তা দেবে।

  2. বৈধতার পরিচায়ক

    সঠিক রসিদ ছাড়া সোনার গহনা ক্রয় অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যকলাপকে উদ্বুদ্ধ করে। একটি রসিদ ঘোষণা করে যে উল্লেখিত বিশুদ্ধতা সমেত আপনি নির্দিষ্ট সোনার অলঙ্কারটি উল্লেখিত মূল্যে সেই বিক্রেতার থেকে ক্রয় করছেন যে এই রসিদটি লিখছে, সাথে আপনাদের দু’জনের মধ্যে বৈধ লেনদেনকেও নিশ্চিত করছে।

  3. ক্রয়ের জন্য যথার্থ মূল্য

    বেশিরভাগ গহনার দোকান স্পষ্টভাবে তাদের ফিরতি কেনার নীতি অথবা শর্তাবলী সম্পর্কে বলে। তারা হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে আপনার সোনার গহনা পরিমার্জন অথবা অদলবদল করবে যদি আপনার কাছে কোন সঠিক রসিদ না থাকে। একটি যথার্থ রসিদে মেকিং চার্জ, সোনার রেট এবং ক্রেতাকে যে পরিমাণ GST দিতে হবে তা লেখা থাকে। এই সমস্ত বিবরণ অনুপস্থিত থাকলে, আপনাকে আপনার ক্রয়ের জন্য অতিরিক্ত মূল্য দিতে হতে পারে।

    অনুষঙ্গী:এমন কোন সোনার গহনা আছে যা আপনি আর পরেন না? এখানে 5টি উপায় রইল যা আপনি করতে পারে
  4. আইনি মালিকানার প্রমাণপত্র

    2016 সালের ডিসেম্বর মাসে, বাজেয়াপ্তকরণ এবং অনুসন্ধানের সময় আয়কর আধিকারিকদের দ্বারা অপ্রকাশিত সম্পত্তির আবিষ্কারের ফলস্বরূপ ভারত সরকার শাস্তি আরোপ করেছে। এর অর্থ হল যখন পৈতৃক গহনা লব্ধতায় কোন সীমা থাকে না তখন সেটি বিবেচনাধীন হয়, যদি অনুমোদিত সীমার বাইরে আপনার কাছে সোনা থাকে যার কারণ নিদর্শন করা যাবে না সেক্ষেত্রে আপনাকে জরিমানা দিতে হবে। রসিদ হল প্রমাণ করার একটি উপায় যে আপনি আপনার সোনার আইনত অধিকারী এবং আপনার সোনা কোন স্ক্যানারের অধীনে আসে না। যদি আপনি প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে অনুমোদিত সীমার বাইরে আপনার অধিকৃত সোনার ওপর 60% পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের সাথে অতিরিক্ত 25% সারচার্জ প্রযোজ্য হবে।

    অনুষঙ্গী: আপনার সোনার বৈধতা প্রমাণের 7টি উপায় – আর আপনার কাছে না সেগুলি না থাকার পরিণতি

একজন সোনা ক্রেতা হিসাবে, আপনার দায়িত্ব হল সোনা কেনার সময় বিল চেয়ে নেওয়া। এই রসিদ নিশ্চিত করে যে আপনি এবং আপনার আকাঙ্খিত সোনার গহনা উভয়ই সর্বদা সুরক্ষিত, ফলে আপনি এই মূল্যবান ধাতুর মালিকানার ক্ষেত্রে অনেক আর্থিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সুবিধা লাভ করতে পারবেন।

উৎস:
উৎস 1, উৎস 2