Published: 31 আগ 2017
বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণ মন্দির
“স্বর্ণ মন্দির” বলতেই আমাদের মনে পরে উত্তর ভারতের অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের কথা৷ শিখ সম্প্রদায়ের সবথেকে পবিত্রতম স্থান হল শ্রী হরমন্দির সাহিবের গুরুদ্বার৷ তবে, বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণ মন্দিরের শিরোপাটি অর্জন করেছে দক্ষিণ ভারতের শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণী মন্দির৷
এই মন্দির ধন ও সমৃদ্ধির দেবী শ্রী লক্ষ্মীর প্রতি নিবেদিত৷ শ্রী লক্ষ্মী মন্দিরটি থিরুমালাইকোড়ির একটি ছোট পাহাড়ের ওপর উপস্থিত, যেটি তামিলনাড়ুর ভেলোর থেকে প্রায় 8 কিমি দূরত্বে অবস্থিত৷
2001 সালে, শ্রী শক্তি আম্মা নামে এক ধর্মীয় নেতা এই স্বর্ণ মন্দির নির্মানের উদ্যোগ নেন যা 2007 সালে সম্পূর্ণ হয়৷ এই মনমুগ্ধকর মন্দিরটি 100-একর জমির ওপর অবস্থিত, যেটি কৌশলী তারকা-পথ (শ্রী চক্র) নির্মাণ দ্বারা পরিবেষ্টিত৷ বিশ্বাস করা হয় এই 1.8 কিমি পথ মাতা ধরিত্রীর থেকে শক্তি শোষণ করেছে ফলে যে ভক্তরা এই পথ দিয়ে হেঁটে আসে তারা শান্তি ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়৷ এই আকর্ষণীয় স্বর্ণ মন্দিরটি তারকা-পথের কেন্দ্র৷
শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণী মন্দির 1500 কেজি সোনার দিয়ে সাজানো যা অমৃতসর স্বর্ণ মন্দিরের দ্বিগুণ৷ মন্দিরের প্রথাগত বৈদিক স্থাপত্য, বেদ থেকে প্রাচীন ভারতের জ্ঞান পাঠ্যের তাৎপর্যপূর্ণ বিবরণ প্রদর্শন করে৷ স্থাপত্যের এই ব্যতিক্রমী শৈলিই অন্যান্য পবিত্র স্থান থেকে শ্রী লক্ষ্মী নারায়নী মন্দিরকে আলাদা করে তুলেছে৷
যে শিল্পীরা এই মন্দিরটি তৈরি করেছে তারা এক সেরা শিল্পকর্ম সৃষ্টি করেছে৷ এই নিখুঁত শিল্পকর্মটিতে পাতের মধ্যে সঠিকভাবে সোনার বার খচিত করা হয়েছে৷ তারা এই পাতগুলি তামার ওপর হস্ত দ্বারা ডিজাইন করে স্থাপিত করেছে৷ গর্ভগৃহ (দেবালয়ের দ্বার) এবং সেই গর্ভগৃহ ও মন্দিরের বহির্মুখের মাঝের পথ অর্থ মন্ডপম সোনা দিয়ে বাঁধানো৷ মন্দিরটির সোনার গম্বুজের ঔজ্জ্বল্য দূর থেকে দেখা যায়৷
দেবী লক্ষ্মীর সুন্দর ও বৈভব অপূর্ব সুন্দরভাবে এই মন্দিরে উপস্থাপিত করা হয়েছে যা দেবতার এর স্বর্গীয় আভা ছড়িয়ে রাখে৷ সাম্প্রতিক অতীতে, শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণী মন্দির ‘সোনার দেবী’র আরাধনার তাৎপর্যপূর্ণ স্থান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেটি সারা ভারত তথা বিদেশ থেকেও ভক্তরা দেখতে আসে৷