Published: 12 সেপ্টে 2017
জাভেরি বাজার-সোনা প্রেমীদের স্বর্গ
“সোনে কি চিড়িয়া” (সোনার পাখি)হিসাবে প্রায়ই উল্লেখিত ভারতবর্ষ তার নিখুঁত এবং অনন্য প্রথাগত চারুকলা সমেত সোনার গহনার জন্য বিখ্যাত। ভারতে “সোনা প্রেমী”র গহনার বাজার সারা দেশের ক্রেতাদের দেখতে পায়। ভারতের সমস্ত গহনার বাজারের মধ্যে, সমৃদ্ধশীল শহর মুম্বাইয়ের জাভেরি বাজার গহনা ক্রেতাদের স্বর্গ হিসাবে সমাদৃত।
“জাভেরি” শব্দের অর্থ গহনা আর “বাজার” হল মার্কেট। 150 বছরের পুরনো এই গহনার বাজারটি ভুলেশ্বরে উপস্থিত, যেটি মুম্বাইয়ের ক্রফোর্ড মার্কেট এবং মুম্বাদেভির মাঝে অবস্থিত। জাভেরি বাজার একটি বিশাল বড় বাজার যার সরু গলিগুলিতে 7,000টি ছোট ও বড় দোকান আছে; এদের মধ্যে কিছু দোকান আবার 300 বছরের পুরনো। এই দোকানগুলির মধ্যে ক্ষুদ্রতর দোকানের আয়তন 150 বর্গফিট, তবে তাদেরও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টার্নওভার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। সরু গলিগুলিতে দোকানগুলি খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর হয়; ঠিকানা থাকলেও, একটি নির্দিষ্ট দোকানে পৌঁছানো ক্রেতাদের পক্ষে সত্যিই কৌশলী কাজ। দোকানগুলিকে কেবলমাত্র তাদের নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা যায়।
জাভেরি বাজার গহনা শিল্পের সবথেকে বড় কেন্দ্র। এদের মধ্যে কিছু দোকান সেকেন্ড-হ্যান্ড বা ব্যবহৃত গহনা এবং রত্নও বিক্রি করে।
গহনার দোকানের সাথে অতিরিক্তভাবে, জাভেরি বাজারের আরেকটি স্পষ্ট ল্যান্ডমার্ক হল ধরম কান্তা। এটি একটি পুরনো ফ্যাশানের দোকান যেটি 70-80 বছর আগে তৈরি হয়েছিল, সোনার বিশুদ্ধতা চিহ্নিত করার মাধ্যমে গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করাই এটির উদ্দেশ্য। এই দোকানে, স্বর্ণকার একটি উঁচু গদিতে বসে থাকেন এবং তার সেই কর্মীকে নিরীক্ষণ করেন যে নিয়ে আসা আইটেমগুলির বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করে, তারা মূলত সেই গহনা পরীক্ষার জন্য পরিচিত যা হলমার্ক করা নেই। ভারতীয় মূল্যে 150-200টাকার মত সামান্য অর্থ দাবি করলেও, তাদের সোনার বিশুদ্ধতার শংসাপত্র শেষ কথা বলে আর সারা ভারতের সমস্ত জহুরিরা সেই শংসাপত্র একবাক্যে গ্রহণ করে। অক্ষয় তৃতীয়া, ধনতেরাস এবং গুড়ি পদওয়ার মত উৎসবের সময় ধমর কান্তাতে প্রায় তিল ধারণের জায়গা থাকেনা।
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের জাভেরি বাজার একটি “আবশ্যিক-দর্শনীয়” স্থান। আপনার পরিচিত যে ব্যক্তিরা মুম্বাই যাচ্ছে আর সোনা কিনতে চায় তাদেরও আপনি ওখানে যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।