Published: 27 সেপ্টে 2017
আম্বেদকর এবং সোনার মান্যতা
প্রায় একশো বছর আগে, একজন তরুণ অর্থনীতিবিদ জুলাই মাসের এক উষ্ণ দিনে নিউইয়র্কের মাটিতে পা রাখেন। তাঁর নাম ছিল বাবাসাহেব রামজি আম্বেদকর।
ভারতের সংবিধানের জনক এবং দলিতদের নেতা হিসাবে পরিচিত, আম্বেদকর সোনার মান্যতার জন্য একজন জনপ্রিয় আইনজীবী হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। 20thসোনার মান্যতাকে উন্নীত করার জন্য তার অবস্থান সেই প্রস্তাবনার বিপরীতমুখী ছিল যা ভারতের সোনা বিনিময়ের মান্যতায় অনুসরণ করা উচিত ছিল, এইরকমই পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইনেস, যার ভাবনাই মূলগতভাবে ম্যাক্রোঅর্থনীতি তত্ত্ব এবং অনুশীলন এবং সরকাররে 20 শতকের অর্থনৈতিক নীতি পরিবর্তন করে দিয়েছিল।
লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিস্কে বাবাসাহেবের গবেষণার থিসিসটি পরবর্তিতে 1923 সালে একটি বই হিসাবে প্রকাশিত হয়। এটি সেই সময়ে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে রুপি বা টাকার পরিচালনা সম্পর্কে কথা বলে যখন ভারত সরকার ভারতীয় রুপি বা টাকার পতনের মূল্য নিয়ে লড়াই করছিল, যেটি তখনও রূপোর মান্যতার বিরুদ্ধে ছিল। একটা সময় বিস্তৃত পরিসরে অর্থনীতিবিদ এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে সোনার মান্যতা এবং সোনার বিনিময় মান্যতার তুলনামূলক গুণমান নিয়ে বিতর্ক ছিল।
তিনি ঔপনিবেশিক ব্রিটিশদের চেষ্টাকে স্মরণ করে নোটবন্দি করা সোনা ও রূপোকে আবার প্রচলনের কথা এবং বহু বছর ধরে ভারতীয় মুদ্রার বিবর্তনের ধারাবিবরণ দিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ভারতের সোনার মান্যতাকে গ্রহণ করা উচিত।
ভারতের মত উন্নয়নশীল দেশ সোনা বিনিময়ের মান্যতার ঝুঁকি নিতে সমর্থ নয় বলেও এই বইটি যুক্তি দেখায় এবং বলে সেক্ষেত্রে আবার মুদ্রাস্ফীতি এবং মূল্য বৃদ্ধি হবে। এই কারণের জন্যই, তিনি বিনিময় হারের স্থায়িত্বের তুলনায় মূল্যের স্থায়িত্বে বেশি গুরুত্ব দিতে চেয়েছিলেন।
The Problem of the Rupee-বইটিই ক্রমে রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ধারণা উন্নয়ণ করে এবং ক্রমশ প্রতিষ্ঠা করে।