Published: 27 সেপ্টে 2017
সোনার কোন স্বাদ নেই: তাহলে আমরা এটি খাই কেন?
আপনার খাবারে বা আপনার পানীয়তে সোনার চূর্ণ ছড়িয়ে দেওয়ার ধারণা শুরু হয়েছিল সেই 16শ শতাব্দিতে৷ আজকের আধুনিক যুগে, আমরা সুস্বাদু সোনায় মোড়ানো ডোনাট, সোনার ফলকে পিৎজা আর সোনার পাতে মোড়ানো বার্গার পাই৷ সোনা উপাদান হিসাবে নিষ্ক্রিয় হওয়ার কারণে আমাদের জিহ্বা দুর্ভাগ্যবশত সোনার স্বাদ বুঝতে পারেনা, সাথে আমরা সেটা হজমও করতে পারিনা, তাহলে সত্যিই প্রশ্ন উঠে আসে; আমরা আমাদের খাবারে এটি কেন দিই?
এই কেন প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার আগে, কিধরনের সোনা খাবারে ব্যবহৃত হয় সেটা একবার দেখে নিই চলুন, কে জানে হয়তো কোনদিন কোন সোনায় মোড়ানো খাবার খাওয়ার সুযোগ আপনারও হয়ে যাবে৷ খাবারে যে সোনা দেওয়া হয় সেটিকে অবশ্যই 100% খাঁটি বা 24ক্যারেটের হতে হবে৷ 24ক্যারেটের সোনা না হলে তাতে প্রয়োগের ওপর নির্ভর করে রূপো, ব্রোঞ্চ, তামা বা টিনের মত অন্য ধাতুর খাদ মেশানো থাকে৷ অশুদ্ধ সোনা গলাদ্ধকরণ করা অত্যন্ত বিপজ্জনক, এর মধ্যে অন্য ধাতুর খাদ মেশানো থাকায় সেটি আপনার শরীরে বিষক্রিয়া করতে পারে৷
এখন দেখে নেওয়া যাক কেন প্রশ্নের উত্তর৷ শেফ বা পাচক এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট তাদের মেনুতে যে সোনা যোগ করে তার কারণ এই নয় যে সোনা খাবারটির স্বাদ বাড়িয়ে দেয়, এর কারণ হল সোনার ভেষজ (therapeutic) বৈশিষ্ট্য, সাথে উদ্দেশ্যসাধনের উপায় স্বরূপ এটি একটি মার্কেটিং কৌশলও বটে, সোনার বৈভব লোকেদের আকর্ষণ করে আর তার ফলে রেস্টুরেন্টগুলির যশ এবং সাফল্য বৃদ্ধি পায়৷ এটি যেমন সত্য তেমনই খুব স্মার্ট বা বুদ্ধিদীপ্ত৷ সোনা একটি নিরন্তন সমৃদ্ধির ভাণ্ডার যা বহু শতাব্দি ও সহস্রাব্দ ধরে সংগ্রহীত হচ্ছে৷ মানুষ হিসাবে, আমরা সোনা এবং তার দ্যুতিমান সঙ্গ কামনা করি৷ খাবারের থালায় সোনা দিলে, সেটি বেশ কিছুটা অন্ধভাবে অযৌক্তিক কাজ করার তাড়নাকে বিহ্বল করে৷ এটি সম্পূর্ণ সোনারই ক্ষমতা, যার কারণে মানুষ নিজেদের সুবিধার জন্য এটিকে এই রূপে চালিত করে৷