Published: 08 ফেব্রু 2018
সোনায় থাকা আকর্ষণীয় উপাদান
বিশ্বজনীন সোনার সৌন্দর্যের কদর ও বিরল হওয়ার কারণ এটিকে চূড়ান্ত সামাজিক মর্যাদার প্রতীক করে তুলেছে। প্রাচীন রাজাদের সময় থেকে আধুনিক বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সময় পর্যন্ত, আমরা কিছু অত্যন্ত লক্ষণীয় উপাদানের দিকে তাকাতে পারি যেগুলিকে লোকেরা সোনার সম্পত্তিতে পরিণত করেছে।
সোনার পোশাক -
ভারতীয় মিলিয়নিয়ার স্বর্গীয় শ্রী দত্তত্রে ফুগের একটি শার্ট ছিল যেটি এই হলুদ ধাতুতে তৈরি হয়েছিল। যদিও, এটি তার সোনার প্রতি ভালোবাসাকে চরিতার্থ করতে পারেনি আর সে তার শার্টের সাথে মানানসই একটি কাস্টোমাইজ সোনার বেল্ট তৈরি করে। এই শার্টটি ‘সবথেকে দামি শার্ট’ হিসাবে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে স্থান করে নেয়।
সোনার সময়-
রাজাদের সময় থেকে উঠে আসা আরেকটি চারুকলার নিদর্শন ছিল একটি অপূর্ব সুন্দর রিপিটার পকেট ঘড়ি, যার মালিক ছিল 1920সালে পাটিয়ালার মহারাজা ভূপিন্দর সিং। এই রাজা ভারতের অন্যতম ধনী রাজাদের একজন ছিলেন।
সোনার ক্যাসকেট -
গৌতম বুদ্ধের সংরক্ষিত স্মৃতিচিহ্নকে তার ভক্তরা তাদের আধ্যাত্মিক নেতার সম্মানার্থে একটি সোনার ক্যাসকেটে রেখে দিয়েছে। এই ক্যাসকেটের ওজন প্রায় 35কেজি এবং 18কেজি সোনার প্লেটেড করা।
সোনার পাদুকা-
অন্যান্য সরঞ্জামকে পাশে রাখলে; ভারত উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির জোড়ে এতোটা ধনী ছিল যে পাদুকাগুলিও সোনার সুতো দিয়ে নকশা করা হত। এই সুন্দর সোনার পাদুকাগুলির মালিক ছিল 1920 সালে কাপুরথালার মহারাজা জগজিৎ সিং।
সোনার অস্ত্র -
1943সালে যোধপুরের মহারাজা উমায়েদ সিংয়ের জন্য একটি কোল্ট পিস্তল সোনা ও আইভরি দিয়ে তৈরি করা হয়। আমাদের রাজারা এর থেকে রাজকীয়ভাবে আর কোন লড়াই করেনি।
মনে রাখার মত এক পথ চলা -
কোচবিহারের মহারানী ইন্দিরা দেবী তার জুতো এতো ভালোবাসতেন যে তার শত শত জুতোর জোড়া ছিল যা বিশেষত তার জন্য সোনা ও হিরে ও পান্নার মত মূল্যবান ধাতু খোদাই করে তৈরি করা হত।
সোনার ওজন -
ধনসম্পত্তি জাহির করার সময় ভারতের রাজারা কখনও পিছনে থাকেনি। মাননীয় হায়দ্রাবাদের নিজাম মীর ওসমান আলি খানের উটপাখির ডিমের আকারের একটি বিশাল সোনার বল ছিল যা তিনি পেপারওয়েট হিসাবে ব্যবহার করতেন।
এখানে সামান্য কিছু উদাহরণ দেওয়া হল যেখানে দেখানো হয়েছে কিভাবে ভারতের ধনী ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা তাদের সোনার প্রতি ভালোবাসাকে বছরের পর বছর ধরে চরিতার্থ করত। আমরা পরবর্তিতে দেখব নতুন প্রজন্মগুলি এবিষয়ে ঠিক কি ভাবছে!