Published: 11 সেপ্টে 2018

জম্মু এবং কাশ্মীরে পরিহিত সোনা

Kashmiri Bridal Jewellery

জম্মু এবং কাশ্মীরের বাতাস জুড়ে ছড়িয়ে আছে ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি- তা তার কাব্য থেকে তার খাদ্যই বলুন বা তার স্বতন্ত্র্যসূচক ফ্যাশন৷

রাজ্যের নিগূঢ় ঐতিহ্য প্রতিফলিত হয় কাশ্মীরের আকর্ষণীয় সোনার গহনায় যেটি তার নিখুঁত, সূক্ষ্ম ডিজাইন এবং অনন্য ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনার জন্য পরিচিত৷ ফার্সী এবং সংস্কৃত ভাষা থেকে তাদের নাম চলে আসছে৷ এমনকি, মুঘল সম্রাজ্ঞী-নূরজাহান কাশ্মীরে নিখুঁত গহনার প্রচলন এবং প্রভাব বিস্তার করেছিলেন বলে কৃতিত্ব পান৷

কাশ্মীরের স্থানীয় শিল্পীরা গহনা-প্রস্তুতির শিল্পে বিশেষভাবে দক্ষ ছিল৷ তাদের কৌশল পুরানো এবং প্রথাগত আর পুনরায় তৈরি করা প্রায় অসম্ভব৷

চলুন দেখে নিই জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অনন্য সোনার গহনার ধরণ:

জিগ্গনি:

এই অলংকারটি কপালে থাকে৷ সোনায় তৈরি এবং মুক্তো এবং সোনার পাতা ঝোলানো থাকে৷

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: পিনটারেস্ট

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: mirraw.com

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: mirraw.com

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: Pinterest

হালকাবন্দ:

একটি প্রথাগত আঁটসাট কণ্ঠহার, হালকাবন্দ গলায় সজ্জিত থাকে৷ এটি সাধারণত সোনায় তৈরি হয় এবং পরষ্পর যুক্ত অংশগুলি সুতো দিয়ে বাঁধা থাকে৷

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: Pinterest

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: Pinterest

দেজিহোর:

পণ্ডিত পরিবারের প্রতি মহিলা তার বৈবাহিক জীবনের প্রতীক হিসাবে পরিধানকারী দেজিহোর একটি ঝোলা দুল যেটি কানের ওপরের দিক থেকে ঝুলতে থাকে৷ মনে করা হয় যে বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে স্বর্গীয় শক্তি সঞ্চার করানোর জন্য মহান কাশ্মীরি আচার্যরা এটি ডিজাইন করেছিলেন৷

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: amazon.com

আট্টা-হোর:

এটি আরেকটি গহনা যা পণ্ডিত পরিবারের বিবাহিত মহিলারা পরিধান করে, আট্টা-হোর দুটি কানের ওপর দিয়ে ঝোলে এবং এটি মাথার ওপর দিযে একটি সোনার চেনের সঙ্গে যুক্ত থাকে৷

কানা-দুর:

যুবতী মেয়েদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়, কানা-দুরও কানের একটি গহনা৷ সোনায় তৈরি এবং রাল ও সবুজ মুক্ত খচিত৷ কানা-দুরকে কাশ্মীরি কাব্যে ‘অতিপ্রিয়’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে৷

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: rediff.com

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: mirraw.com

গুনুস:

হাতের কব্জির অলংকার গুনুস হল একটি মোটা সোনার বালা এবং তার দুটি প্রান্তে হয় সাপের মাথা বা সিংহের মাথা থাকে৷ এই ডিসাইনটি অন্যতম একটি সোনার ডিজাইন বন্যপ্রাণী দ্বারা অনুপ্রাণিত৷

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: Pinterest

কৃতজ্ঞতাস্বীকার- Shopify

সোন্দাস বা ব্রানসিল:

এটি আরেকটি অলংকার যেটি বিবাহকে প্রতীকায়িত করে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাড়াখি মহিলাদের দ্বারা পরিহিত সোন্দাস বা ব্রানসিল হল এমন একটি অলংকার যা মা তার মেয়েকে বিয়ের সময় হস্তান্তরিত করে৷ এই গহনাটি বামহাতে পরতে হয়৷ এই অলংকারটিতে লম্বা রূপোর রজ্জু থাকে যা কিছু সোনার চাকতির সঙ্গে যুক্ত থাকে৷

মাঙ্গটিকা

যখন বিয়ের গহনার সময় আসে, তখন একটি সোনার মাঙ্গ-টিকা (বা শুধি টিকা) হল আরেকটি অলংকার যা কপালে সজ্জিত হয়৷ বিয়ের কনেরা সাথে তাদের কব্জিতে কাড়া বা বালাও পরে, যেগুলিতে সূক্ষ্ম সোনার ফিলিংয়ের কাজ থাকে৷

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: Pinterest

কৃতজ্ঞতাস্বীকার: Fashionmantra

সোনার গহনা সত্যিই জম্মু ও কাশ্মীরের সংস্কৃতিকে নিহিত করেছে আর বহু শতাব্দী ধরে রাজ্যটির অলংকরণে অপূরণীয় অংশ হয়ে উঠেছে৷ তাদের সোনার গহনার বিচিত্র শৈলি এবং ডিজাইন আধুনিক কালের শিল্পী এবং ডিজাইনারদের কাছে অনেক বড় অনুপ্রেরণা৷