Published: 04 সেপ্টে 2017
ভারতে সোনার ওপর ধার্য করা শুল্কের মূলধনী মুনাফা সম্পর্কে বুঝে নেওয়া যাক
মূলধনী মুনাফা হল সেই লাভ যা কোন মূলধন সম্পত্তি বিক্রির পর পাওয়া যায়৷ এই মূলধনী মুনাফার পরিমাণ যতদিন মালিক সেই সম্পত্তিটি ধরে রেখেছে সেই সময়ের ওপর ভিত্তি করে কর প্রয়োগ করা হয়৷ শুল্ক বা কর সেই বছর প্রয়োগ করা হয় যে বছর মূলধনী সম্পত্তি হস্তান্তরের ফলে প্রভাবিত হয়, ভারতবর্ষে এটি হল 1লা এপ্রিল থেকে অনুবর্তী বছরের 31শে মার্চ৷
সোনা বা সোনার গহনাকে মূলধনী সম্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং যখন এটি বিক্রি করা হয় তখন মূলধনী মুনাফার শুল্ক বা কর প্রয়োগ করা হয় (আয়কর আইনের বিধান অনুযায়ী)৷ দামের গুণগ্রাহিতার কারণে সোনার মূল্য বৃদ্ধি কোন শুল্ক ধার্য করেনা, এটি তখনই প্রয়োগ হয় যখন মালিক সেই সোনা বিক্রি করে এবং বিক্রির ওপর লাভ করে, যেক্ষেত্রে মূলধনী মুনাফার কর প্রয়োগ করা হয়৷
সোনার ওপর স্বল্পমেয়াদী মূলধনী মুনাফার করযদি সোনা তিন বছরের কম সময়ের জন্য ধরে রেখে মুনাফার জন্য বিক্রি করা হয়, তখন একজন ব্যক্তি স্বল্প-মেয়াদী মূলধনী মুনাফা করবে৷ এই মুনাফা কোন ব্যক্তির মোট করযোগ্য আয়ের সাথে যুক্ত হবে এবং করের মূল্য পেযোগ্য হবে৷ স্বল্পমেয়াদী মূলধনী ক্ষতির ক্ষেত্রে, এই পরিমাণ অর্থ অন্য কোন স্বল্প মেয়াদী মূলধনী মুনাফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ করে৷
সোনার ওপর দীর্ঘমেয়াদী মূলধনী মুনাফার শুল্করেয়াতিযোগ্য করের হার প্রয়োগ হয় সেই ক্ষেত্রে যখন তিনবছর বা তার বেশি সময় ধরে রাখার পর সোনা বিক্রি করে মুনাফা করা হয়৷ ইন্ডেক্সসেশান সুবিধা সমেত দীর্ঘ-মেয়াদী মূলধনী মুনাফা করের অর্থ হল খরচ মুদ্রাস্ফীতির নির্ঘন্ট (Cost Inflation Index, CII) সমেত সোনার খরচ গণনা৷ এটি এমন একটি নির্ঘন্ট যা ভারত সরকার প্রতি বছর প্রকাশ করে এবং বছরগুলিতে মুদ্রাস্ফীতি বিচার করে৷ তাই, CII-এর জন্য আপনার গণনার পর, সেই অনুসারে কর কমতে পারে৷ এমনকি, যদি মুদ্রাস্ফীতি প্রচন্ড বেশি হয়, আপনাকে মূলধনী মুনাফার কর শেষ পর্যন্ত একদম নাও দিতে হতে পারে৷ যখন তিন বছরের সময়ের পর সোনার বিক্রির ওপর মূলধনী লোকসান বোঝা যায়, তখন সেটি কেবলমাত্র দীর্ঘ-মেয়াদী মূলধনী মুনাফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ করতে পারে৷