Published: 05 সেপ্টে 2017
চাঁদে: অপ্রত্যাশিত সোনা
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ হল চাঁদ। এটি পৃথিবীর থেকে 384,400 কিমি দূরত্বে অবস্থিত এবং আকৃতিতে মোটামুটি আমাদের গ্রহের 27% হবে, এটি বিরল মাটি এবং মূল্যবান ধাতু (সোনা এবং রূপো সমেত)খননের, জল এবং হিলিয়ামের খোঁজের স্থান হিসাবেও বিবেচিত।
2014 সালের ফেব্রুয়ারী মাসে, নাসা ঘোষণা করে যে চান্দ্র দর্শন ও অন্বেষণের ক্ষেত্রে রোবট তৈরির জন্য মার্কিন কোম্পানিগুলি থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চাঁদের পৃষ্ঠতলের গঠন অন্বেষণের গবেষণার দায়িত্বগ্রহণে ব্যবহৃত হবে। উপগ্রহের ছবি দেখাচ্ছে যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর রিগোলিথের (চাঁদের মাটি)ওপরের 10 সেন্টিমিটারে পৃথিবীর অন্যতম ধনী খনিগুলির তুলনায় 100গুণ বেশি সোনা গচ্ছিত রয়েছে।
মাত্র কিছু বছর আগে, বেশিরভাগ ভূতত্ত্ববিদ আমাদের চাঁদ থেকে খননের ভাবনাতে হাসত। আপনিই দেখুন, মহাকাশে ভ্রমণ যেমন ব্যয়বহুল তেমনই প্রকৌশলগত ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাবহুল। এমনকি, চাঁদে 1লিটারের জলের বোতল রাখতেও খরচ পরে প্রায় $250,000। যদিও, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, অন্যান্যদের মধ্যে SpaceX-এর মত কোম্পানিগুলি প্রকৌশল উন্নত করতে এবং একটি বিন্দুতে খরচ ও ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেছে যার ফলে চাঁদে খনন একটি প্রাপ্তিযোগ্য লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। এমনকি, প্রাইভেট মহাকাশ-অন্বেষণ কোম্পানি মুন এক্সপ্রেস-এর সহ-নির্মাতা এবং কোটিপতি, নবীন জৈন তার আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করে বলেছেন যে তারা 2017 সাল শেষ হওয়ার আগে একটি ছোট রোবোটিক মহাকাশযান চাঁদে পাঠাবে। একাধিক প্রকৌশলগত এবং আর্থিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হলেও মুন এক্সপ্রেস আশা করে ধীরে ধীরে চাঁদে সোনা, প্ল্যাটিনাম গোষ্ঠীর ধাতু সমেত জল ইত্যাদি মূল্যবান সম্পদের খননের দায়িত্ব তারা গ্রহন করতে পারবে।
তবে চান্দ্র খননের সমস্ত সমস্যাই বৈজ্ঞানিক নয়। আন্তর্জাতিক স্পেস চুক্তির মৌলিক শর্ত হল যে কোন ব্যক্তি বা দেশ পৃথিবীর বাইরে কোন কিছুর দাবি করতে বা মালিকানা চাইতে পারব না যার অর্থ হল যদি চাঁদের সম্পদের নিষ্কাশন বাস্তবে সম্ভব হয়, তাহলেও সেই সোনার মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই যাবে।